নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। রোববার (১৬ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণ ও আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীতে কয়েক শ শ্রমিক রেললাইনে অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়লেও বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যায়।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল ১০টার পর কমলাপুর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় তিনটার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এদিকে রাজধানীর এফডিসি সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে রেলওয়ে ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এজন্য বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা রাজধানীর রেলভবনে গেছেন।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাচল অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে শ্রমিকরা আলোচনায় সম্মত হলে তাদের রেলভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুপুর দুইটায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে আটকা পড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস এক্সপ্রেস ট্রেনটি পেছন থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ট্রেনে গন্তব্যে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এতে যাত্রীরা কেউ চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা ফেরত নেওয়ার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
এমআই