নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সদরঘাটে বালগেটের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ছয়টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
রোববার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বালগেটের ধাক্কায় যাত্রীসহ একটি ওয়াটার বাস ডুবে যায়।
কেউ কেউ সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছাতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ছয়জনকে।
সাঁতার কেটে তীরে উঠে আসা ওয়াটার বাসটির যাত্রী আব্দুল কাদের বলেন, কেরানীগঞ্জে যাওয়ার জন্য তিনি লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে ওঠেন। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে বাসের ছাদে বসেছিলেন। তাঁর জানামতে, ওয়াটার বাসটিতে ৫৫ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।
মৃত তিনজনের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুঠিয়া এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে আলিফ (১৪) এবং ঢাকার দোহারের জয়পাড়া এলাকার সবুজ মিয়ার ছেলে ফাহিম (২০)। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৫০ হবে।
হাসপাতালে ভর্তি আছেন মিমি, সামিরা এবং মনসুর। তাদের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে। উদ্ধার করা বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
প্রায় ছয় ঘণ্টার মতো উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর পর রাত তিনটার কিছু আগে উদ্ধার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়। তিন ঘণ্টা বিরতির পর সকাল ছয়টা থেকে ফের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ হয়েছেন, সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ একেক সময় একেক সংখ্যা শোনা যাচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত আমরা নয়জনকে উদ্ধার করেছি। এদের মধ্যে ছয়জন জীবিত, তিনজন মৃত।
এমআই