নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে দশম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে প্রেসক্লাব সড়কের একাংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর বার্তার পরেও দাবি আদায়ের আন্দোলনে অনড় তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) প্রেসক্লাব এলাকায় দেখা যায়, গত কয়েকদিনের মতো আজ সকাল থেকে শিক্ষকদের শ্লোগানে উত্তাল প্রেসক্লাব এলাকা। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আজ দশম দিনের মতো আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ যোগাযোগ করেনি। আজ নয় দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে দাবি মেনে নিয়ে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে দিন।
তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
এরআগে বুধবার (১৯ জুলাই) নির্বাচনের আগে জাতীয়করণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে অনেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে থাকে। এই সরকারের সময়ে শিক্ষকদের কোনো দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হয় না। আমরা দুটি কমিটি করে দেব, তারা এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা আন্দোলনে আছেন, তারা কি আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন? যদি না পারেন, তাহলে বলব- এমন পরিস্থিতির দিকে বিষয়টিকে নিয়ে যাবেন না, যা খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করে। তাই তাদের বলব- আপনারা ঢাকা থেকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, ক্লাসে ফিরে যান।
এমআই