জেলা প্রতিনিধি:
মাশরুম চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মো. সাগর হোসেন। মাত্র ৩ বছরেই নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার উৎপাদিত মাশরুম ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
তিনি বছরে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার মাশরুম বিক্রি করছেন। খরচ বাদে ছাত্রজীবনেই বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করছেন। তিনি ছাড়াও তাঁর মাশরুম সেন্টারে আরও তিন থেকে পাঁচজন যুবক সারাবছর কাজ করে জীবিকা অর্জন করছেন।
তরুণ এ উদ্যোক্তা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের কৃষক বাবু প্রামাণিকের ছেলে। হোগলা গ্রামের একটি বাগানের মধ্যে টিনশেড দোচালা ঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাশরুম চাষ ও বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তা সাগর হোসেন বলেন, ‘প্রতি কেজি মাশরুম উৎপাদনে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা খরচ হয়। প্রতি কেজি ২২০ টাকা পাইকারি দরে ঢাকা ও বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি।
বছরে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার মাশরুম বিক্রি করি। খরচ বাদে ছাত্রজীবনেই বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করছি। আমার মাশরুম সেন্টারে ৩ থেকে ৫ জন যুবক সারাবছর কাজ করেন। তাদের প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়।’
তরুণ এ উদ্যোক্তার দাবি, ‘মাশরুমকে কৃষিপণ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি চাষিদের সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক। কৃষিখাতকে বাণিজ্যিক ও আধুনিক করার জন্য সরকারিভাবে জনবল ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মনিটরিং ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছা থাকায় ছাত্রজীবনেই সাগর সফল মাশরুম চাষি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কৃষি বিভাগ মাশরুম চাষ বৃদ্ধি ও বেকারদের কাজে লাগাতে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘মাশরুম উৎপাদনের স্থানটি পরিদর্শন করেছি। উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে এবং সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য উপজেলা প্রশাসন উদ্যোক্তা অ্যাপস ও ম্যাপসের ব্যবস্থা করেছে। প্রয়োজনে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।’
সময় জার্নাল/এলআর