নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মচারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোরভাবে নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি)।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো যাচ্ছে যে, স্কুল/কলেজের শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ, নিয়মিত ক্লাস অনুষ্ঠান এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক/কর্মচারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোরভাবে নজরদারি করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে ব্যর্থতায় এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের ওপর বর্তাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এদিকে দাবি আদায়ে বুধবারও প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রধান চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়।
এর আগেও অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। অনুমোদন ছাড়াই স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৪ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। আন্দোলনের নবম দিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। কিন্তু সেখানে কোনো সমাধান আসেনি। ফলে প্রেসক্লাবে অবস্থান করে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমআই