সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক: বিএনপি’র মহাসমাবেশ একদিন পেছানোয় আওয়ামী লীগের ৩ সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এই সমাবেশ শুক্রবার বিকাল তিনটায় শেরে বাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার রাতে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ওদিকে বিএনপি’র মহাসমাবেশের দিন রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ। দলটির তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ রাতে সমাবেশ পিছিয়ে দেয়ার বিষয় জানিয়েছেন। সমাবেশে কয়েক লাখ নেতা-কর্মী অংশ নেবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী ৫টি জেলাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে- মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব জেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডেকে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে রাজধানীতে লোক আনার পাশাপাশি নিজ নিজ জেলায়ও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। শান্তি সমাবেশ প্রসঙ্গে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, কর্মসূচিতে ৫ থেকে ৭ লাখ লোক সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা করছি। এ সমাবেশে আমাদের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ বার্তা থাকবে। তাহলো- সন্ত্রাসের বিপক্ষে সজাগ থাকার জন্য বলা হবে। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে যে গভীর ষডযন্ত্র করছে তা মোকাবিলা করার জন্য যুবসমাজ ও ছাত্র সমাজ যেন প্রস্তুত থাকে। তিনি বলেন, আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিগুলোতে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং জনগণ তাদের ওপর খুবই ক্ষিপ্ত। আমরা অনেক জায়গায় লক্ষ্য করেছি কোনো কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে জনগণই মাঠে নেমে আসবে। আমরা জনগণের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবো। নেতারা জানান, বেলা ১১টা থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হবেন। দুপুর ১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হবে। সেখানে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি হবে। তারপর বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা শুরু হবে। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমাবেশে আসার জন্য ঢাকা মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতাকে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন, তারা রাজপথে থাকতে চান এবং কোনোভাবেই যেন নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, সহিংসতা না হয়- সে ব্যাপারে নজর রাখতে চান। আওয়ামী লীগের এবারের কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো- বিএনপিকে মাঠ দখল করতে না দেয়া। শান্তি সমাবেশের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, রাজধানীর প্রবেশ মুখগুলোতে দলীয় নেতা-কর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবে। পাশাপাশি রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে অবস্থান করবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি বড় অংশ থাকবে শান্তি সমাবেশে। আরেকটি অংশ থাকবে নিজ এলাকায়। এছাড়া রাজধানীজুড়ে মোটরসাইকেলে করে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা মহড়া দেবে বলে জানান তারা। এদিকে শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ রাজধানীজুড়ে লিফলেট বিতরণ করেছে। এদিকে বিএনপি’র কর্মসূচিকে ইঙ্গিত করে গতকাল গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে এবং জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে। সময় জার্নাল/এস.এম
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল