মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সারা দেশের ন্যায় ঈদগাহ মাঠ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে এবারে দিনাজপুর জেলা শহরসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ৬,৮০৮টির অধিক মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে দেশ, জাতিকে হেফাজতে রাখতে ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও সৃমদ্ধি কমানায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার ৬,৮০৮টির অধিক মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মানুষের সংকুলান না হওয়ায় কোন কোন মসজিদে দু’টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুসল্লিরা মুখে মাস্ক পড়ে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোন কোন মসজিদে তা মানা হয়নি।
সকাল ৮টায় দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এই জামায়াতে নামাজ আদায় করেন সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুইঞাসহ অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে দিনাজপুর জেলা শহরের দক্ষিণ লালবাগ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও সকাল ৯টায় পশ্চিম পাটুয়াপাড়া জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গায় ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিনাজপুর শহরের চাউলিয়াপট্টি খানকাহ রহমানিয়া জামে মসজিদ, কাঞ্চন কলোনী শাহী জামে মসজিদ, চাউলিয়াপট্টি মাটির মসজিদ, লালবাগ ১নং আহলে হাদিস জামে মসজিদ, ২নং আহলে হাদিস জামে মসজিদ, পাটুয়াপাড়া জামে মসজিদ, ঘাষিপাড়া ডাবগাছ জামে মসজিদ, বালুয়াডাঙ্গা কাঞ্চন ব্রীজ সংলগ্ন জামে মসজিদ, স্টেশন রোড জামে মসজিদ, জেল রোড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, গোর এ শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, বালুবাড়ী শাহী জামে মসজিদ, দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদ, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ জামে মসজিদসহ জেলা শহরের শতাধিকের অধিক মসজিদে ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬,৮০৮টির অধিক মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে খুৎবার পর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট বৈশি^ক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে দেশের মানুষকে হেফাজত করতে, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনা, আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা এবং নিজ পরিবার, দেশ ও জাতিকে হেফাজত করার আকুতি জানিয়ে মুনাজাত করা হয়।