নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের চলমান সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিইসি।
সিইসি বলেন, ‘আমরা একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলেছি, নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন, যেটা আমরা সব সময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলে থাকি। দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তা রাজনৈতিক। সেটার সঙ্গে আমার কর্মের কোনো সংঘাত নেই। এ সমস্যা যদি রাজনৈতিকভাবে সেটেল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা অনেক কম্ফোর্টেবল হবে, অনেক সহজ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে প্রকট কতগুলো বিষয় রয়েছে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে সুরাহা হয়ে যাক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। যেই স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচন সহজ হতে পারে।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ওনারাও বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসলেই সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপ ছাড়া সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। এটা আমি ওনাকে বলেছি। এই কমিশনের পক্ষ থেকে আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলগুলো এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা খাওয়া উচিত। তারপরে আলোচনা করে এই সংকটগুলো নিরসনের চেষ্টা করা উচিত।’
অক্টোবরে প্রাক্নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রঅক্টোবরে প্রাক্নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, অক্টোবরে ওনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) প্রি অ্যাসেসমেন্ট টিম আসবে। ওনারা আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। উনিও দেখেছেন, শুনেছেন আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা ওনার কাছে কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেছি। উনি জানতে পেরেছেন, শুনেছেন, এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট পলিটিক্যাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়। এর জবাবে আমরা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, তা আমরা স্ট্রিকলি ফলো করেছি। এ জন্য অনেক দল নিবন্ধন পায়নি। মাত্র দুটি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা লেভেলে ক্রাইটেরিয়াগুলো পূরণ করেছে।
মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা ওনাকে বলেছি, নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রসঙ্গে উনি জানতে চেয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি কী পাবে? এর জবাবে আমরা বলেছি, বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করব।’
এমআই