এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাগেররহাটের মোরেলগঞ্জে পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে গত চারদিন ধরে দিনে দু’বার ভাসছে পৌরসভার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি শহর রক্ষা বাঁধসহ সন্ন্যাসী হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত নদীর দু’পাড়ের স্থায়ী ভেড়িবাঁধ নির্মাণের। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানির নিচে। হুমকির মুখে নদীর তীরবর্তী ২৫ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা।
(৪ আগষ্ট শুক্রবার) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় পানগুছি নদীর তীরবর্তী পৌর শহরের ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বারইখালী ইউনিয়নের কাশ্মীর, বলইবুনিয়ার শ্রেণীখালী, বহরবুনিয়ার ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রাম সহ ২৫টি গ্রামসহ ২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে খাউলিয়ার গাবতলায় নতুন করে আধা কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ধসে গেছে।
এদিকে বারইখালীর ১০৯ নং উত্তর সুতালড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২৩ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অম্বিকা চরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বদনীভাঙ্গা আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বহরবুনিয়ার এসবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ নদীর তীরবর্তী ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খেলার মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও পঞ্চকরনের দেবরাজের পানিউন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১২শ’ মিটার অস্থায়ী ভেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। পৌর শহরের কাপুড়িয়া পট্টির কাঁচা বাজার কলেজ রোড, কেজি স্কুল সডক, উপজেলা প্রশাসনিক চত্বর পানিতে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বারইখালী গ্রামের মো. বিপ্লব কাজী, পান ব্যবসায়ী রশিদ বেপারী বলেন, মোরেলগঞ্জ শহরের কাপড় ব্যবসায়ী মো. আল আমিন শেখ বলেন, জোয়ারের পানি দোকানে ঢুকে পড়ে কয়েক ঘন্টা বেচা বিক্রি বন্ধ থাকে। ক্রেতারা পড়ে চরম ভোগান্তিতে। শুধু শুনে আসছি ভেড়িঁবাধ হবে?।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট এসএম মনিরুল হক বলেন, ইতোমধ্যে গাবতলা হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী ভেড়িবাঁধের ট্রেন্ডার হয়েছে। ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের প্রস্তাবনা হয়েছে। বাস্তবায়নের অপেক্ষায় শহরবাসি। ভেড়িবাঁধের কাজ শুরু হলে সমস্যায় থাকবে না পৌরবাসি।
পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, ২০টি গ্রাম পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। কৃষকের চলতি মৌসুমের সবজি পানির নিচে। কাঁচা পাকা রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। দেবরাজে অস্থায়ী ভেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে এক সপ্তাহ পানির চাপ থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে ভূক্তভোগী গ্রামবাসিরা।
এ সর্ম্পকে বাগেরহাট জেলা পানিউন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, মোরেলগঞ্জ শহর সংলগ্ন রামপাল-মোংলা হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধের জন্য সম্ভাব্যতা সমিক্ষার জন্য মন্ত্রানালয়ে প্রস্তাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ইতোমধ্যে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন হতে বাগেরহাট জেলা সদর সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ এবং বিষখালী নদী পুনঃখনন শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর