বান্দরবান প্রতিনিধি:
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি নামতে শুরু করায় নিচু এলাকায় জনদুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া জেলা শহরের সাথে রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
লামা ও আলীকদম উপজেলায় এখনো সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি চালু হয়নি। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তলিয়ে যাওয়ায় গত তিন দিন ধরে বান্দরবান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে জেলা শহরের আর্মিপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ সাদাত হোসেনের মালিকানাধীন একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ওই ভবন থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে শহরের কাছে বালাঘাটা এলাকায় একটি ছাত্রাবাস থেকে আটকে পড়া ১৫ জন শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য জেলায় ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার্তদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ৪৩টি ও সেনাবাহিনীর পাঁচটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য ইতোমধ্যে ৮৫ টন খাদ্যশস্য ও দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার্তদের সহায়তায় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর