সর্বশেষ সংবাদ
প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর:
ফ্রান্সে হলিডে হোমে আগুন লেগে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় ওই ভবন থেকে আরও ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে একটি হলিডে হোমে অগ্নিকাণ্ডের পর ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকালে আগুন লাগার ঘটনা সম্পর্কে জরুরি পরিষেবাগুলোকে জানানো হয় এবং পরে প্রায় ৮০ জন অগ্নিনির্বাপককে সেখানে পাঠানো হয়।
বিবিসি বলছে, আগুন এখন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, তবে ঠিক কিভাবে সেখানে আগুন লাগে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের শিকার ওই ভবন থেকে সতেরো জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন এবং ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি পরিষেবাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে নয় জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল জরুরি পরিষেবা। এছাড়া বাকি দুই নিখোঁজ ব্যক্তির লাশের সন্ধান চলছে বলেও জানানো হয়। তবে বিকেল নাগাদ কলমারের ডেপুটি প্রসিকিউটর নাথালি কিলওয়াসার নিশ্চিত করেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভবনের তৃতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পর তৃতীয় তলায় থাকা লোকেদের কাছে পালানো কঠিন হয়ে পড়ে এবং সেখানেই তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে এই মুহূর্তে আমরা কারও কাছ থেকে জানতে পারছি না, ঠিক কী কারণে এসব মানুষ আগুনে আটকা পড়েছিল।’
বিবিসি বলছে, জার্মান সীমান্তের কাছে এবং স্ট্রাসবার্গ শহরের প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত উইন্টজেনহেইমের কাছে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
হাউট-রিন অঞ্চলের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের শিকার এই ভবনটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তায় কাজ করা দু’টি পৃথক দাতব্য সংস্থার দুই দল লোক ব্যবহার করত।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি এটিকে ভয়াবহ বিপর্যয় বলেও অভিহিত করেন।
এস.এম
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল