নুসরাত জাহান শুচি, জবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী নানা আন্দোলন ও ঘটনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয় বঙ্গবন্ধু "অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে" উল্লেখ করেছেন। ভাষা আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনবদ্য।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ছিল না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জোরালো ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করেছেন।
তবে এই ম্যুরাল স্থাপনের নেপথ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের ভূমিকা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের দাবিটি সর্বপ্রথম উত্থাপন করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণের কাজ তদারকি ও পর্যবেক্ষণ নিয়মিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের শুরু থেকে ম্যুরাল স্থাপনের বিষয়ে অনড় থাকেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম আকতার হোসাইন বলেন "আমি যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম তখন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল "যদি কখনো নেতা হতে পারি তাহলে ক্যাম্পাসে যাতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।"
আমাদের কমিটির যাত্রা শুরু থেকেই আমি আমার স্বপ্ন ও দাবির বিষয়ে অনড় ছিলাম। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রথমবারের মতো স্থাপিত হয়েছে যা সত্যিই আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের। জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন রাষ্ট্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্যারদের আন্তরিকতায়, ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনের জন্য যে কমিটি গঠন হয়েছিল সে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নূরে আলম আবদুল্লাহ স্যারসহ কমিটির সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সার্বিক সহযোগিতায় ম্যুরাল স্থাপনের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী যার সার্বিক নির্দেশনায় ম্যুরালটি বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালও নিরলসভাবে এই ম্যুরাল স্থাপনে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে ও সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছে। আমার সহযোদ্ধা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রয়াসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে।"
এমআই