আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে নতুন একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ইমরান খানসহ তার তিন সহযোগী জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানি একটি শীর্ষ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি ইসলামাবাদে পাঠান। অভিযোগ উঠেছে, ইমরান খান সেটি ফাঁস করেছিলেন।
ইমরান খান সে সময় অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনে অভিযান শুরুর আগে রাশিয়া সফর করেছিলেন ইমরান খান। এ কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ২০২২ সালের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এ নেতা। অন্যদিকে, ইমরানের অভিযোগ অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
ইমরান খান বর্তমানে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজা ভোগ করছেন। এর পাশাপাশি তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, আমরা সরকারি গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করা জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব রউফ হাসানকে প্রশ্ন করা হলেও কোনো মন্তব্য করেননি। আস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই পাকিস্তানি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ইমরান খান। সর্বশেষ তার গ্রেফতার কেন্দ্র করে দেশব্যাপী প্রতিবাদ করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বর্তমানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গত ৫ আগস্ট ইমরান খানকে তিন বছর কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
এমআই