জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ও সহযোগিতার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় ১ জনের ভর্তি বাতিল ও ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রক্সিতে ভর্তি হওয়া আহসান হাবীব। এই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই- বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হওয়া আহসান হাবিবের ভর্তি বাতিল করা হলো। এবং উক্ত শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হতে সহায়তাকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার হরা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবিবের হয়ে প্রক্সি দিয়ে উত্তীর্ণ হন। প্রক্সির জন্য একটি জালিয়াত চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তির ৩০ হাজার টাকা বাকি রাখায় গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসলে তাকে আটকে রাখে অভিযুক্তরা। কিন্তু আহসান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই চক্রটি তার বাবার কাছে মুঠোফোনে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় তারা আহসান হাবীবকে মারধরও করেন।
পরে ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ না পেয়ে তার মা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরনাপন্ন হন। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ একপর্যায়ে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।
এমআই