শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেডিকেল সেন্টারে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে মেডিকেল সামগ্রী। আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন উপস্থিত থেকে এই চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ করেন।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া মেডিকেল সামগ্রীর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে ছিল, দুইটি রোগীর বেড, একটি এক্স-রে ভিউ বক্স, একটি ইসিজি মেশিন, একটি অপারেশন সামগ্রী জীবাণু মুক্ত করার অটোক্লেব মেশিন।
কুবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ডা.মাহমুদুল হাসান খান বলেন, 'এসব সামগ্রী পাওয়ার পরে আমাদের কিছুটা সংকট দূর হবে, তবে আমাদের প্যাথলজিক্যাল টেস্টের সাপোর্ট পেলে সংকট অনেকটাই দূর হবে'।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিনিধি দলের প্রধান এসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, 'জনস্বার্থে বেক্সিমকোর অবদান অব্যাহত আছে, কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি থেকে আমরা এই ধরনের ডোনেশন করে থাকি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সামগ্রী প্রদান করতে পেরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস খুব খুশি এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, মাননীয় উপাচার্য স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন।ভবিষ্যতেও আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকব।"
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'বেক্সিমকোর মার্কেটিং ডিরেক্টরকে জানানোর পর উনি খুব সল্প সময়ের মধ্যে সাড়া দিয়েছেন, এবং মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহ করেছেন। আজকের এই মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে কুবির সাথে বেক্সিমকোর যে সম্পর্কের উন্নতি হলো আশাকরি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।'
এসময় নার্স এবং এক্স-রে মেশিন এর সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা যেহেতু একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, আমরা চাইলেই নার্স নিয়োগ দিতে পারিনা। তবে আমরা পার্ট-টাইম নার্স নিয়োগ দেওয়ার জন্য কাজ করছি, আশাকরি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। এক্স-রে মেশিনের জন্য আমাদের নিরাপদ রেডিয়েশন নিরোধক রুমের সংকট রয়েছে তাই এই মূহুর্তে এটি স্থাপন করা সম্ভব না। তবে আমরা নতুন ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করব'।
এমআই