নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ সংশোধন করে নতুন প্রণীত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের অনুমাদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
সংশোধন অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে থাকছে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অনাদায়ে তিন বা ছয় মাসের কারাদণ্ড। জরিমানা না দিতে পারলে এই সাজা ভোগ করতে হবে।
এর আড়ে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর নতুন নাম হবে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’। একই সঙ্গে আইনের অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তখন আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন আইনটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাস হবে।
আইন পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে আনিসুল হক বলেন, আমরা আলোচনা করে দেখেছি জনগণের এবং যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেটা ভালোভাবে করা যাবে, সে কারণে এই আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হয়নি, এটি সংশোধন করা হয়েছে। আগে অনেক ধারা জামিন অযোগ্য ছিল, সেগুলো এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের পরিবর্তন জরিমানা রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬-সহ মোট পাঁচচটি ধারা বিলুপ্ত করে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। আইনটি কার্যকরের পর থেকে সাংবাদিকদের ওপর এর অপপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিক নেতারা বরাবরই আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
এমআই