মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চর জামিরা নবাব আলী দাখিল মাদ্রাসায় নৌকা ভ্রমণের শিক্ষক ও ছাত্রীদের নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ৷
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় এক সহস্রাধিক আইডি থেকে পোস্টের মাধ্যমে ফেসবুক, টিকটকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জানা গেছে, ২৮ আগস্ট জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর জামিরা নবাব আলী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ১০০ জন নৌকায় করে শিক্ষা সফরে যান। এ সময় নৌকায় উচ্চস্বরে গান বাজানো হলে সেই গানের তালে নাচতে শুরু করেন মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রীরা। নৌকা ভ্রমনে সুপার ইদ্রিস আলী, শিক্ষক কালাম, জহুরুল কেরানী,দপ্তরী সুলতান, মনির মাষ্টার,জাহাঙ্গীর মাষ্টার সহ কয়েকজন শিক্ষক ছাত্রীদের নিয়ে নৌকা ভ্রমনে সিরাজগঞ্জের ইকো পার্কে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামিরা পাচকাদা বিল থেকে রওনা হয়। এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।তবে সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবী জানান সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
তবে এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা সফরের নামে গানের সঙ্গে শিক্ষক ও ছাত্রীদের নাচ কোনো সভ্য সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না।
সিফাত হাসান নামের একজনে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, যাত্রা এবং ঢোল বাজনা বাদ্যযন্ত্র এগুলা ইসলাম পরিপন্থী কাজ। গান বাজনা হলো হারাম।মাদ্রাসা হলো নবীর ঘর। আজ যা দেখলাম মাদ্রাসা হুজুর এবং জেনারেল শিক্ষক মিলে যে আয়োজন করেছে তা ইসলামের ক্ষতির উদ্দেশ্য এদের কাজ। এর জন্য দায়ী এলাকার প্রতিটি পরিবার। যাই হোক মুসলমান হিসাবে একটা দাবি এটার একটা বিচার হওয়া দরকার আজ মাদ্রাসা গান বাজনা হলো কাল মাদ্রাসা মাঠে যাত্রাও হতে পারে।
আরেকজনে লিখেছেন, মাদ্রাসা হলো নবীর ঘর। আজ যা দেখলাম মাদ্রাসা হুজুর এবং ছাএী শিক্ষক মিলে যে অসিলতা করতাছে তা ইসলামের দৃস্টিতে যায়েজ না। এর জন্য দায়ী এলাকার প্রতিটি পরিবার এবং প্রতিটি শিক্ষক এবং কমিটি বৃন্দ। যাই হোক মুসলমান হিসাবে একটা দাবি এটার একটা বিচার হওয়া দরকার আজ মাদ্রাসা গান বাজনা হলো কাল মাদ্রাসা মাঠে যাত্রাও হতে পারে।
তবে বিষয়টি নিয়ে চর জামিরা নবাব আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইদ্রিস আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ দিকে এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে জানান, এটা খুবই খারাপ কাজ করেছে। মাদ্রাসা হিসেবে এ ধরনের কাজ মোটেই গ্রহণ যোগ্য না। বিষয়টি সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআই