নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। রোববারও বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সন্দ্বীপে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি নেই, বাড়ছে ভ্যাপসা গরম।
বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, তাপপ্রবাহ কিছু কিছু এলাকা হতে প্রশমিত হতে পারে।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল ঈশ্বরদীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান মনোয়ার হোসেন।
এছাড়া রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এমআই