বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

পোশাক রফতানির আড়ালে ৩০০ কোটি টাকা পাচার

সোমবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
পোশাক রফতানির আড়ালে ৩০০ কোটি টাকা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পোশাক রফতানির আড়ালে ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৩০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

ঢাকা ও গাজীপুরের ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এসব অর্থ পাচার করেছে। বিভিন্ন সময়ে এক হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন জালিয়াতি করেছে বলে তদন্তে উঠে আসে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকার সাতটি, গাজীপুরের দুটি ও সাভারের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রফতানিকারকদের ঘোষণা অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গাজীপুরের পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, ঢাকার ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স এবং সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড।

টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রফতানি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থপাচার করেছে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মূলত বিল অব এক্সপোর্টে ন্যাচার অব ট্রানজেকশনের কোড ২০ ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছে।

শাসমুল আরেফিন আরও বলেন, এর আগেও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একই পন্থায় ৩৭৯ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা উৎঘাটন করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধানসহ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬৭৯ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা উদঘাটন করলো শুল্ক গোয়েন্দা।

তদন্তকালে ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।

প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। ১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল