কাউছার আহমেদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে চলমান মামলাটি স্থগিত চেয়ে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ বহিরাষ্ট্রীয় ১৬০ জন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া খোলা চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
আজ শুক্রবার(৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবাদলিপিতে এই বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানায় সংগঠনটি।
প্রতিবাদলিপিতে সংগঠনটির প্রথম প্রধান সমন্বয়ক, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বমোট ২৫৬ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন। প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
যেখানে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তার সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং আইন সবার জন্য সমান হওয়ায় এখানে দেশীয় বা বহিরাষ্ট্রীয় কারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নাই। অতএব, ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিষয়ে অযাচিত এবং অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি বা চিঠি প্রদান করা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ বলে পরিলক্ষিত হয়।
সেই সাথে উক্ত বিবৃতি আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা এবং বাংলাদেশের শ্রমআইনে প্রদত্ত শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলীর সম্পূর্ণ পরিপন্থি। ড. ইউনুসের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিবৃতি অত্যন্ত অমানবিক।
শিক্ষকরা বলেন, উদ্বেগের সাথে লক্ষণীয় যে উক্ত বিবৃতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিরূপ মন্তব্যও করা হয়েছে। যা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ এই ধরনের অযাচিত, অবমাননাকর ও বেআইনি হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টাকে নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুনাম ও সমৃদ্ধি যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তখন একথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে উক্ত বিবৃতি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমূলক। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এই ১৬০ কর্তাব্যক্তির বিবৃতির প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর