নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আগুনে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বরছেন, মার্কেট ও কাঁচাবাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০টি দোকান ছিল।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেছেন, অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে। আমাদের বরাদ্দ দেওয়া দোকান ছিল ৩১৭টি।
এরমধ্যে এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি সেখানে ২১৭ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ফায়ার সার্ভিসও বলেছে ভেতরে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
রাজধানীতে কৃষি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় মোহাম্মদপুরের কয়েকটি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আশপাশের সড়কে। এতে করে মিরপুর সড়কে দেখা গেছে যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথের যাত্রীরা। অনেকে বাস থেকে নেমে পায়ে হেটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদ গেট এলাকায় ধীর গতিতে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও আবার দীর্ঘক্ষণ যানজটে পড়েছে যানবাহন। মূল সড়কে উঠতে না পেরে অলিগলিতে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির জট দেখা গেছে।
এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে তাদের ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ সাহায্যকারী দল। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় এবং মানুষের ভিড়ের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর