অ আ আবীর আকাশ, জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পারিবারিক কলহের জেরধরে স্ত্রী ও শশুরকে জবাই করে হত্যা করেছে জামাই। নিহতরা হচ্ছেন স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৮) এবং শ্বশুর বাদশা আলম (৫৫)। বুধবার সন্ধ্যা সাতটার সময় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শ্বাশুড়ি আংকরি বেগম (৫০), বাদশা আলমের মা আমেনা বেগম (৭০) আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগমের চার বছর আগে নরসিংদী জেলার মো: জয়নালের ছেলে মো: সুমন (৩২) এর সাথে বিয়ে হয়। রাশেদা চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাদের ঘরে জাহিদ নামের ২বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকেই সুমন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত সুমনকে গত বছর তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন রাশেদা।
রাশেদার স্বামী মো: সুমন স্ত্রীর আয়ের টাকায় নেশা করতেন। নেশার টাকা না দিলে স্ত্রীকে এর আগেও কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেছেন। গত মাসে পারবাবিরক ভাবে একই এলাকার মো:আব্দুল কাদেরের সাথে রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। স্ত্রী রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে এসে ছুরি দিয়ে স্ত্রী রাশেদা বেগম ও শশুর বাদশা আলমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। শাশুড়ী আংকরি বেগম এগিয়ে এলে তাকেও চুরিকাঘাত করে সুমন। চুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই রাশদা এবং বাদশা আলম নিহত হন। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটি এলে কৌশলে পালিয়ে যায় সুমন।
পরে স্থানীয় আকবর হোসেন নামের একজন ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে পুলিশ কিংবা স্থানীয় কেউই সুমনের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হন সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী। তিনি জানান- ‘খবরপেয়ে আমি রামগতি থানার ওসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। খুনিকে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান- ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে গেছে। ঘাতক জামাইকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।’
এমআই