নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকার উন্নয়নকাজের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে ঋণ নিতে পারে। আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘সামাজিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ নিয়ে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা জানান।
পেনশন স্কিম থেকে ঋণ নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নকাজে বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকারকে ঋণ নিতে হয়। পেনশন স্কিম চালুর ফলে ঋণ নেওয়ার আরও একটি উৎস যোগ হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিলে বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, বড় বড় প্রকল্পের কারণে বর্তমানে দেশের অর্থের প্রবাহ বেড়েছে। একই সঙ্গে দুর্নীতিও বাড়ছে। দেশে উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। কেউ কেউ ব্যাংকের বড় অঙ্কের টাকা লোপাট করে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছেন। ব্যাংকিং খাতেও প্রভাবশালীরা অর্থ লুটপাটের ঘটনায় জড়িত। একটি অংশ ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না। এদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত অনেককেই আইনের আওতায় আনা উচিত।
মন্ত্রী বলেন, যারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে নির্বাচনী তহবিল জোগানোর উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, তাদের সমালোচনা যথার্থ নয়। পেনশন খাতে জমাকৃত অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। এর জন্য সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
সমালোচনা আছে সরকারের কোষাগার খালি তাই এই পেনশন স্কিম। পেনশন স্কিমকে মানুষের টাকা চুরির নতুন ফন্দি বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘কিছু নাই, দেশটাকে ফোকলা বানিয়েছে (সরকার)। এখন আবার আরেকটা নতুন কায়দা বের করেছে—পেনশন স্কিম। মানুষের টাকা চুরির আরেকটা নতুন ফন্দি। ওই টাকা চুরি করে নির্বাচন করতে চায়। মানুষ এবার তা হতে দেবে না।’ তবে সরকার এটাকে বলছে, এসব অপপ্রচার।
ডেমোক্রেসি ফর ডিবেট (ডিএফডি) বিতর্ক প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন ডিএফডি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিযোগিতায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দলকে পরাজিত করে সরকারি তিতুমীর কলেজ দল চ্যাম্পিয়ন হয়।
এমআই