নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ও মহান শিক্ষা দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন এডুকেশন ক্লাব। দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
নোবিপ্রবির বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক।
এডুকেশন ক্লাবের সভাপতি ইমরান হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান জি এম রাকিবুল ইসলাম।
মুখ্য আলোচক ছিলেন, মালালা ফান্ডের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ-বাংলাদেশ মোশাররফ তানসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, এডুকেশন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. রাফিউজ্জামান।
আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, সনদ কিংবা ডিগ্রি অর্জন শিক্ষার মূল লক্ষ্য হতে পারে না। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের আচরণ, অভ্যাস, দক্ষতায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসলে সেটাই সুশিক্ষা। সুশিক্ষা প্রসার ও প্রয়োগে আমাদের নজর দেয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ নেন। যা এখনো আমাদের পথ দেখিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে করা শিক্ষা কমিশন এখন পর্যন্ত দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কমিশন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, মানুষ ভুলের উর্দ্ধে নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে, যত কম ভুল করে জীবন পরিচালনা করা যায়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে তোমাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছে। তোমরাও নিজেদের দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে, সেটাই প্রত্যাশা।
মুখ্য আলোচক মোশাররফ তানসেন বলেন, উন্নয়নের সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে সাক্ষরতার বিকল্প নেই। সাক্ষর না হলে হাতে থাকা মুঠোফোনটিরও কার্যকর ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা ঝরে পড়েছে এবং যারা ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে আছে সে সকল শিক্ষার্থীদের সাক্ষরতা ও জীবনমুখী শিক্ষার আওতায় আনতে হবে।
এসজে/আরইউ