শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইসিটি সেলের আয়োজনে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক প্রকল্পের 'ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক' (ক্যান) ও 'Comilla University' নামক মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো: সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে বোতাম টিপে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পটির মোট বাজেট ছিলো ২ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৬৫ টি নোট ও ৯২ টি রাউটার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অ্যাপের কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইট নির্মাণের ব্যয়ের সাথে অন্তর্ভুক্ত।
এর আগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলেন, 'এখন থেকে আমাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে নেটওয়ার্ক সার্ভিস নিতে হবে না। এ প্রকল্পের জন্য আমাদের প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ার লক্ষ্যে যেসব ভিশন নিয়েছেন, আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট গভর্ন্যান্স গড়ার ভিশন নিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে আমরা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি।
গবেষণা, থিসিসের কাজে এ হাই কোয়ালিটির উচ্চগতি সম্পন্ন নেটওয়ার্কটি সহযোগিতা করবে।'
তিনি আরো বলেন, ' কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জিএসটিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে, এপিএ র্যাংকিংয়ে দশম স্থানে আছে, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ৩৬৭ ধাপ এগিয়েছে। আমাদের হাই র্যাংকড জার্নালে গবেষণা প্রকাশ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে এখন ইনটিগ্রিটি আছে। গবেষণা, শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে।'
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিমেক সিস্টেম লিমিটেডের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো: আবু মুসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রশিদুল ইসলাম শেখ, প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার নাছির উদ্দিন এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ডিন, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
সময় জার্নাল/এলআর