নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সৌজন্য অনুমতির ইলিশ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি শুরু হয়েছে। এ উপহার দুই দেশের মধ্যে সৌহাদ্য ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক্যকে আরো জোরদার করবে বলে মনে করছেন সংশিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রথম দিনে ৫ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২ ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি ইলিশ রফতানি করে। পর্যায়ক্রমে বাকি ইলিশ আগামী ৪১ দিনের মধ্যে রফতানি হবে।
বানিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে দেশে ইলিশের আহরন কমে আসে। এতে ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে সরকার। তবে ভারতের সাথে সবচেয়ে বেশি বানিজ্যিক ও বন্ধুত্বের সম্পর্কের কারণে ২০১৯ সাল থেকে আবারও বিশেষ অনুমতি দেয় রফতানির।
এরপর থেকে প্রতিবছর দূর্গা পুজার সময়ে কেবল ভারতে নিদিষ্ট পরিমাণে ইলিশ রফতানি হয়ে আসছে। এবছরও ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয় সরকার। শুল্ক মুক্ত সুবিধায় প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় (১০৯০ টাকা) দরে রফতানি করা হয়েছে।
পর্যায় ক্রমে অনুমতি পাওয়া ৭৯ টি প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৩৯৫০ টন ইলিশ ৩০ অক্টোম্বরের মধ্যে রফতানি শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। এসব ইলিশ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পশ্চিম বাংলাসহ বিভিন্ন স্থানে খোলা বাজারে বিক্রি করবেন। এতে সব শ্রেনীর মানুষ কেনার সুযোগ পাবে।
ইলিশ রফতানিকারকেরা জানান, তারা আশা করছেন নিদিষ্ট সময়ের আগে ইলিশ রফতানি শেষ করতে পারবেন।
বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, পুজায় ভারতীয়দের প্রিয় এই ইলিশ উপহার দুই দেশের মধ্যে বানিজ্যিক ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক্য বৃদ্ধি করবে।
বেনাপোল মৎস পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি হওয়া ইলিশের মান পরীক্ষা করে ছাড় পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথম চালানে ইলিশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, আনিসা এন্টার প্রাইজ, সেভেন ষ্টার, প্যাসেফিক সি ফুট ও রিপা এন্টার প্রাইজ।
উল্লেখ্য, গত বছরে ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে। যার ফলে আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
সময় জার্নাল/এলআর