ফাহিম হোসেন, ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বৃষ্টিতে আটকে পড়া পানি নেমে গেছে। দুটি হলেই সংযোগ দেওয়া হয়েছে বিকল্প বিদ্যৎ। এতে সচল হয়েছে পানি সরবরাহ।
আজ শুক্রবার দীর্ঘ ১৬ ঘন্টা বিদ্যৎহীনতার পর অবশেষে মেয়েদের এই দুইটি হলে বিকল্প বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে।
কুয়েত-মৈত্রী হল এবং বঙ্গমাতা হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, 'বিকেলের দিকে পানি অনেকটা কমে গেছে। বিদ্যৎ না থাকায় সারাদিন আমরা কিছুই করতে পারিনি।
যেসকল আপুদের রবিবার বা পরে পরীক্ষা ছিল তারা পড়াশোনা করতে পারেননি। তবে ম্যমের পরামর্শে হলের কর্মীরা অনেক কাজ করেছেন৷ আপাতত সবকিছু সচল আছে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু মুছা চৌধুরী সময় জার্নালকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা আপাতত সমাজকল্যাণ থেকে বিদ্যুতের লাইনটা নিয়েছি। তবে আমি দুই হলের প্রাধ্যক্ষদেরকে ডেকে সতর্ক করে বলেছি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করতে। পুরো মাত্রায় ব্যবহার করলে লাইন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।'
মেইন লাইন কবে ঠিক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আশা করছি আগামীকাল কোনো ধরনের বৃষ্টি না হলে খুব দ্রুতই আমরা মেইন লাইনটা ঠিক করতে পারবো। শুধু শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই পানির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে আমরা এই বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছি।'
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিলুফার পারভীন বলেন, 'বিকেলবেলা পানি নেমে গেছে। আর আমরা ৪ টা থেকেই বিকল্প বিদ্যুৎ চালু করতে পেরেছি।
এখানে আমাদের প্রকৌশল সেক্টর সকাল থেকেই কাজ করেছেন। আমাদের উপাচার্য স্যার এবং প্রক্টর স্যার এখানে শুরু থেকেই তদারকি করেছেন।
এখন একটা স্থিতিশীলতা কাজ করছে। আমাদের এখন পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সব ঠিকমত আছে। তবে এটা যেহেতু এটা বিকল্প ব্যবস্থা, তাই আমাদের সচেতন হয়ে করচ করতে হবে।'
সময় জার্নাল/এলআর