জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি :
অবৈধভাবে হলে থাকায় রহমতুন্নেসা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্নীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। নির্দেশনা উপেক্ষা করে উল্টো হল গেটে তালা দেন তন্নী। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রহমতুন্নেসা হলে বিকেল ৫টার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য গেলে তালা খুলে দেন তারা। এ সময় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আসাদুল্লাহ হিল গালিব ও মেহেদী হাসান মিশু ওই হলের ভিতরে প্রবেশ করেন।
জানা গেছে, তামান্না আকতার তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নং কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে আবাসিকতা দিয়েছেন হল প্রশাসন। তবে সিট ছাড়তে রাজি নন এই নেত্রী। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন। সর্বশেষ গতকাল রাতে এ নেত্রীকে সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে উল্টো হল গেটে তালা দেন তন্নি। এসময় অন্যান্য হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে বিষয়ে তামান্না আক্তার তন্নী বলেন, আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা আমার কক্ষে আসে। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি।
হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ না থাকলেও সিটে ধরে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নেত্রী জানান, আমি হলে রাজনীতি করি। এ হলে না থাকলে কর্মীদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে এ সিটে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে ওঠতে দেয় না। এদিকে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানে নি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর কোন সিট নেই। যে কারণে আমরা তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে (শুক্রবার) তন্বী সাধারণ ছাত্রীদের আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছিলো। আমি ছাত্রীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। ভিসি স্যার আসলে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এখন মানবিক কারণে সে হলে থাকবে।
ছাত্রলীগের নেতারা হলে প্রবেশের বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বলেন, মেহেদী হাসান মিশু আমার ছেলের বন্ধু এবং আসাদুল্লাহ হিল গালিবের স্ত্রী এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলো সেই সম্পর্ক থেকে তাদের সাথে আলোচনা করার জন্য তাদেরকে হলে প্রবেশ করতে দিয়েছি।
প্রাধ্যক্ষের বক্তব্যের বিষয়ে আসাদুল্লাহ- হীল-গালিব বলেন, প্রাধ্যক্ষ ম্যামই আমাদের হলে প্রবেশ করতে বলছিলো। কিন্তু আমার কোন স্ত্রী নেই। তবে রহমতুন্নেসা হলে আমার বোন থাকতো।
সময় জার্নাল/এলআর