বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: আজ: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হচ্ছে দিনটি

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: আজ: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হচ্ছে দিনটি

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আজ হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে মায়ের কোল আলোকিত করে দুনিয়াতে আসেন।

রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ তারিখেই ৬৩ বছর বয়সে তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। এ জন্য এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।

বাংলাদেশে দিনটি সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী সা:-এর জীবনী আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইসলামী বইমেলাসহ পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারিত হবে। আজ সরকারি-বেসরকারি সব অফিসে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য : ঈদ, মিলাদ আর নবী তিনটি শব্দযোগে দিবসটির নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ অর্থ-আনন্দোৎসব, মিলাদ অর্থ- জন্মদিন আর নবী অর্থ ঐশী বার্তাবাহক। ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ দাঁড়ায় নবীর জন্মদিনের আনন্দোৎসব। ১২ রবিউল আউয়াল একই সাথে মহানবী সা:-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস হলেও তা শুধু জন্মোৎসব হিসেবেই পালিত হয়।

পৃথিবীর যেকোনো মানুষের মৃত্যুই তার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে। কিন্তু মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর মৃত্যু মানবসমাজ ও সভ্যতার কোনো পর্যায়ে কোনো শূন্যতার সৃষ্টি করেনি। যদিও তার মৃত্যুর চেয়ে অধিক বেদনাদায়ক কোনো বিষয় উম্মতের জন্য হতে পারে না। তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবীর জন্য আল্লাহর রহমত হিসেবে।

এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং করত মূর্তিপূজা। এ অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সা:কে দুনিয়াতে পাঠান।

চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াতি লাভের পর দীর্ঘ ২৩ বছর হজরত মুহাম্মদ সা: কঠোর পরিশ্রম ও শত বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচার করে গেছেন। মুহাম্মদ সা: এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তার দেখানো পথেই পৃথিবীতে নেমে আসে শান্তি। এ জন্য তার প্রতিটি কথা ও কাজ আমাদের জন্য আদর্শ। বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে তার দেখানো পথেই আসতে পারে শান্তি ও মানবতার মুক্তি।

আল্লাহ তায়ালা সূরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: সম্পর্কে বলেন, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল