এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ডিক্লেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবনতা কমাতে কাজ করছে।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চ এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন এর উদ্যোগে এবং লন্ডনের ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ ইউনিভার্সিটি কলেজের সহযোগীতায় ডিক্লেয়ার প্রকল্পে জেলার ৪টি উপজেলার ৯৬টি গ্রামে গবেষণা করে প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়েছে।
ফরিদপুর ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আ,স,ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো, কামরুল আহসান তালুকদার, ডা.জোহান মরিশন। এর আগে এই প্রকল্পের ২০ শতাংশ মানুষের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনের কাজ করবে বলে জানান। খাদ্যাবাসে পরিবর্তন ও নিয়মিত ব্যায়ামসহ আলোচকগণ প্রজেক্টরে মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এছাড়া এসময উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিস সমিতি বাংলাদেশ এর সভাপতি একে আজাদ খান, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যানের ওয়াদুদ মাতুব্বর, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানের একেএম জাহিদুল হোসেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চ এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন এর উপপরিচালক ডা, আব্দুল কুদ্দুস, কমিউনিটি মোবিলাইজেশন এন্ড ফরমেশন অফ পার্টিসিপিটরী গ্রুপের সিনিযর ম্যানেজার তাসমিন নাহার, পিলট অন পিএলএ আরবান এ্যাডেবশন এর ড. যোন্না মরিশন, ইউনির্ভাসিটি কলেজ লন্ডন(ইউসিএল) এর প্রফেসর ইডওয়ার্ড ফোট্রেল, এম.এ সামাদ, আব্দুস সামাদ, প্রফেসর(অব) শাহজাহান ও ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলার আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, বোয়ালামারী ও সালথা উপজেলার ৯৬টি গ্রামের বিভিন্ন নারী-পুরুষ কে গবেষণার অংশ হিসাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এই প্রকল্প সফল হলে আগামীতে সারা দেশব্যাপী এই কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।
এমআই