সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত নোফেল জেলা ছাত্রকল্যাণ ফোরামের মিলনমেলা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় অনুষদ ভবনের ৪০১ নম্বর কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এবং একইসাথে বিদায়ী প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রহিমুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও আল কুরআন এন্ড ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম ফারুক এবং আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিম উদ্দীন। এছাড়াও সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক পিয়াস, ইবিসাসের দপ্তর সম্পাদক তাজমুল জায়িম ও ইবি কোয়ার্টার মসজিদের ঈমাম মোহাম্মদ ইউসুফসহ সংগঠনটির শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক পিয়াস বলেন, ‘বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে নোফেলের কার্যক্রম গতিশীল করার কাজ আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সফল হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক তাজমুল জায়িম বলেন, ‘নোফেলের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা রইল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে যোগ্যতা অর্জন করেছে তা দিয়ে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে। একইসাথে নবীনদের করনীয় হবে ভালো-মন্দ, ধার্মিক- অধার্মিক সকল ধরনের মানুষ থেকে নিজের জন্য উপযুক্ত সঙ্গ নির্ধারণ করতে হবে। তোমাদেরকে মাদক ও খারাপ সঙ্গ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসার পর কখনো কখনো জাতির বোঝায় পরিণত হয়।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রহিমুল্লাহ বলেন, ‘সময় জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদেরকে সময়ের সাথে নিজেদের গঠন করতে হবে। নিজের দায়িত্ব নিজেই পালন করতে হবে। নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করলে পিতামাতা, শিক্ষকসহ সকলের প্রতি অন্যায় এবং দেশের বোঝা হয়ে দাড়াতে হবে।’
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এমআই