সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্লেয়ারস এসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রায় তিন শতাধিক খেলোয়াড় শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো মিলিত হয়েছেন তাদের সাবেক শিক্ষায়তনে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের সামনে থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সাবেক-বর্তমান সকলের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শোভাযাত্রা শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পুনর্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এছাড়াও রমো গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মহসিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা এড. শাহ মঞ্জুরুল হক, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ আলম কচি ও এসোসিয়েশনের ১ম পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. আসাদুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুন বীথির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলায় খুবই অগ্রগামী। এ বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে গেছে, আরো এগিয়ে নিতে আমরা একটি বিভাগও খুলেছি। বিভাগটি খোলার মাধ্যমে আমরা একটা বীজ বপন করেছি, মহিরুহ গড়ে তুলেছি। যা এক সময় পরিপূর্ণ বৃক্ষে পরিণত হবে। যা আমাদের খেলোয়াড় শূন্যতাও পূরণ করবে। এবং এটি বিশ্বের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়কে চেনার জন্য মোক্ষম বিষয় হিসেবে কাজ করবে। আমাদের কিছু সমস্যাও রয়েছে, তা শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবো।’
এসময় তিনি তার বক্তব্যে এসোসিয়েশনটিকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুল তৈরির আশ্বাসও প্রদান করে তিনি।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র ও সাবেক-বর্তমানদের মাঝে প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের বিভিন্ন অর্জন ও এসোসিয়েশনের পথচলার উপর নির্মিত ২২ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এবং এসোসিয়েশনের প্রয়াত শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এছাড়াও এর আগের দিন বিকেলে পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে সাবেক বর্তমানদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের অায়োজন করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর