ফাহিম হোসেন, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট:
'ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচন না হলে সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি প্রেরণও সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিতে ডাকসু নির্বাচন জরুরী। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছা না থাকায় দীর্ঘদিন ডাকসু নির্বাচন আলোর মুখ দেখেনি'
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্ষের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে 'ডাকসু আন্দোলন' ব্যানারে এ সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সাজিদুল ইসলাম বলেন, 'ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন একটি অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরী করে রেখেছে। ডাকসু নির্বাচন ছাড়া এ পরিবেশ থেকে উত্তরণের উপায় নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বডিং মাদ্রাসার মতো হয়ে গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের যেরকম বাধ্যবাধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এখানেও তাই হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, '১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা না থাকায় তার কোন বাস্তবায়ন নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব নির্বাচন হয়, শুধু ডাকসু নির্বাচনই হয় না। '
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামি আব্দুল্লাহ বলেন, যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন হবে না ততদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অধিকার দেওয়া সম্ভব নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বলার জন্য সিনেটে কোন মুখপাত্র নেই।'
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলি স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তানিশা বলেন, আমাদের যে বক্তব্য, প্রতিনিধি না থাকলে তা আমরা তুলে ধরতে পারি না। মলচত্বরে যে প্রকল্প হচ্ছে তা নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মত নেই। কিন্তু সে ব্যাপার বলার জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোন মুখপাত্র নেই। কারণ ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে না। একমাত্র ডাকসুই পারবে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ফিনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জাবির আহমেদ রুবেল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ণি আনজুম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নিনাদ খানসহ প্রমুখ
এমআই