শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ও ইনার হুইল ক্লাব অব কুমিল্লার যৌথ আয়োজনে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে সেমনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান ও ফাহমিদা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় এবং ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মল্লিকা বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ইতিমধ্যে কিছু নতুন হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন যন্ত্রাংশ যোগ করেছি। আমরা পুরুষ হিসেবে যেমন সন্তান, স্ত্রী, ভাই- বোনের অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা পালন করি, তেমনি নারীরাও ভূমিকা পালন করে। তাদের প্রতি আমাদের যত্নবান হতে হবে। ব্রেস্ট ক্যান্সার কী, এটা কীভাবে হয়, কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, এসব আমাদের জানতে হবে এবং মা- বোনদেরকেও জানাতে হবে।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মল্লিকা বিশ্বাস বলেন, 'আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, হৃদরোগ, শিশুরোগ, নারীর ক্ষমতায়ন ও সারা বিশ্বের পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানোর বিষয়ে কাজ করি। অক্টোবর মাসব্যাপী আমরা ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা নিয়ে কাজ করে থাকি। এখন মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে ডাক্তারের কাছে আসে। এটা একটা ভালো দিক। সচেতন হলে ক্যান্সার শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব।'
সেমিনারের সভাপতি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা: হাবিবুর রহমান বলেন, 'সভ্যতার শুরু থেকে নারীদের অবদান অপরিসীম। বর্তমানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা অবহেলিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত। নারীরা কখনো আমাদের প্রিয়তমা, কখনো স্নেহস্পদ কন্যা, কখনো মমতাময়ী মা।'
তিনি আরো বলেন, 'ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে আমাদের আজকের এই আয়োজন। নারী যদি ভালো না থাকে পরিবার, সমাজ, বিশ্ব অচল
অতিথিদের বক্তব্য প্রদানের পর মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের স্বরূপ, উৎপত্তি ও বিকাশের ধারাবাহিকতা, চিকিৎসা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এফসিপিএস (সার্জন) ডা. কাজী ইসরাত জাহান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ কর্মকর্তারা।
এমআই