আল জাবের রাফি, বুটেক্স প্রতিনিধি:
নোটিশের পরদিনই দিতে হবে সেমিস্টার ফি, এমন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর বৃত্তির অর্থ দিতে আট থেকে দশ মাস বিলম্বের অভিযোগের পর এবার অভিযোগ আসে নোটিশ দেওয়ার পরদিন সেমিস্টার ফি নেওয়া নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদারের স্বাক্ষরিত আজ রোববারের নোটিশে বলা হয় আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে। নোটিশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ফি এর সাথে দুইশত টাকা জরিমানা দিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর তারিখের মধ্যে ভর্তি হতে পারবে।
সাধারণত নোটিশ এর এক সপ্তাহের সময় দিয়ে ফি প্রদানের বিষয় এতদিন ধরে চলে আসলেও এবারে একদিনের সময় দিয়ে ই সেমিস্টার ফি নিচ্ছে বুটেক্স।
বৃত্তির অর্থ দিতে বিলম্বের বিষয়ে ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিস্টারের মেধাক্রমের ভিত্তিতে পঞ্চাশ ভাগ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। বর্তমান অর্থনীতিতে যার মান খুব বেশি না হলেও পরবর্তী সেমিস্টারের ভর্তি ফি অন্তত আমরা দিতে পারি এই অর্থ দিয়ে। কিন্তু এই বৃত্তির টাকা কোনো সেমিস্টারে সময়মতো পাইনি আমরা।"
বৃত্তির অর্থ অনেক দেরিতে পেলেও সেই অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, বৃত্তির অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা শিওরক্যাশের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে এতদিন পর্যন্ত। এতে টাকা উত্তোলনে যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এর পরবর্তী সময় থেকে বৃত্তির টাকা বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে বলতে জানতে পারি আমরা। এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের ভোগান্তি কমবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল স্তরের শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। সময়মত বৃত্তির টাকা প্রদান করলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি প্রদানের সমস্যাটা কিছুটা হলেও কমে। তবে সবার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ভর্তি ফি প্রদানের জন্য মাত্র একদিন সময়সীমা বেধে দেওয়া কোনভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।"
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুজ্জামান রনি বলেন, "এডমিশন ফি সারা বছরই দিয়ে আসছি। কিন্তু এবারের ফি চাওয়া ধরণ পাল্টে গিয়েছে, ফি তো নয় যেন বিড়ম্বনা।"
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সেকশনের সহকারী রেজিষ্ট্রার মুহাম্মদ শরীফুর রহমান বলেন, "গত বৃহস্পতিবার বিভাগীয় প্রধান ও ডীনগণের মেটিংয়ে পরীক্ষার তারিখ সিদ্ধান্ত হয়। যা আমার কাছে আসা এবং রেজিস্ট্রারের অনুমোদনে আজ সময় যায়। কিছুদিন পর পূজার ছুটি। ছুটির আগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী রেগুলার ও রিটেক শিক্ষার্থী এই সপ্তাহের মধ্যে সেমিস্টার ভর্তি নিতে হবে বলে এমন হয়েছে। পূজার ছুটির পর ফরম ফিলাপ হবে। "
তিনি আরও বলেন, "পূজার ছুটির পর একসাথে সেমিস্টার ফি ও ফরম ফিলাপের অর্থ দিতে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত লোড কমাতে ছুটির আগেই সেমিস্টারের ফি নেওয়া হচ্ছে।"
এমআই