এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে (বাগেরহাট -৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী বঞ্চিত তৃনমূল বুনিয়াদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
দলীয় ক্ষোভ শত কষ্ট ভুলে গিয়ে নেতা কর্মীদের একত্রিত করনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছরের দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আবারো নৌকা প্রতীকের বিজয়ের জন্য ভোট চেয়ে সভা সমাবেশ করেছেন মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আর জামিল হোসাইন।
বুধবার দুপুরে স্থানীয় রায়েন্দা সরকারী পাইলট স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় বীর মুত্তিযোদ্ধা এম এ খালেক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আওয়ামীলীগ নেতা এম আর জামিল হোসাইন। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শারমীন রিমা, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রায়েন্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিলন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
দুপুর থেকেই মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার ২০টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বন্যাঢ্য খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে মিলিত হন। একপর্যায়ে সমাবেশটি জনসভায় রুপ নিয়ে কানায় কানায় পরিপূর্ন হয় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা এম আর জামিল হোসাইন বলেন , দেশের উন্নয়ন এর ধারা বজায় রাখতে নৌকার প্রতীকের বিজয়ের বিকল্প নেই। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ দক্ষিনাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। পাল্টে গেছে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের গোটা দেশের চিত্র। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পূনরায় বিজয়ী করার আহব্বান জানান। তিনি আরো বলেন স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এ আসনটিতে শরণখোলা থেকে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী সংসদ সদস্য হয়নি।
এ পর্যন্ত প্রয়াত সংসদ সদস্যরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্ধারিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে এ আসনটি থেকে শরণখোলা উপজেলার একজনকে আওয়ামী লীগের মনোনীত করার দাবী জানান প্রধানমন্ত্রী সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
এমআই