এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর নির্বাচনী আসন -২ (নগরকান্দা- সালথা) এ আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগের ৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী । তারা হলেন বর্তমানে উপ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য ও সাবেক সংসদ উপনেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী , ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আঞ্জুমানআরা বেগম , জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল , নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: জামাল হোসেন মিয়া ।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দুইটি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছে । এই নির্বাচনী গণসংযোগে প্রথম স্থানে আছে আঞ্জুমান আরা বেগম , ২য় স্থানে রয়েছেন অ্যাড: জামাল হোসেন মিয়া , ৩য় অবস্থানে রয়েছে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ।
সংসদীয় ২ আসনের জনগণের সাথে কথা বললে তারা যেকারণে লাবু চৌধুরী সাধারণ জনগণকে তার পক্ষে রাখতে পারেননি তার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে প্রথমে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু প্রায় বছর তার পক্ষে নগরকান্দা ও সালথা বাসীর দেখভাল করেন । তারপর থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু পর্যন্ত তার কনিষ্ঠ পুত্র বর্তমান সাংসদ শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী দেখভাল করেন । কিন্তু সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অভিজ্ঞতা জনগণের ভালবাসা ইত্যাদি কোনকিছুই ধরে রাখতে পারে নাই তার সুযোগ্য দুই পুত্র । বিভিন্ন সময়ে দুই উপজেলার দলীয় লোকজন তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । নির্যাতন শিকারকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান ও বর্তমানে সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন । গোট্টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু জাফর । নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদারের পিতার নামে রাস্তার নাম পরিবর্তন এবং সর্বশেষ সালথা উপজেলা পরিষদে তান্ডবে সাধারণ জনগণের পক্ষে অবস্থান না নেওয়া ইত্যাদি ।
সরেজমিনে গেলে সালথা ও নগরকান্দার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনগণেরা জানান , আঞ্জুমান আরা বেগম নগরকান্দার স্থানীয় সন্তান এবং একজন সাদামনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন । দুই উপজেলার এমন কোন বাড়ি নেই যে সে ঐ বাড়িতে গিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য নৌকা প্রতিকের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন এবং গণ সংযোগ ব্যাহত রেখেছেন ।
অ্যাড জামাল হোসেন মিয়া ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক নেতা । দীর্ঘ দিন সাবেক সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর এপিএস হিসেবে কাজ করেছেন এবং পরিচিতি লাভ করেছেন । তার নিজের বাড়ি তালমা ইউনিয়নে । এ ইউনিয়নের একাধিকবার তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবু শহীদ মিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল । তিনি মারা যাবার পরে জামাল হোসেনের মা দেলোয়ারা বেগম নির্বাচিত হোন । বর্তমানে জামাল হোসেনের বড় ভাই কামাল হোসেন তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান । জামাল হোসেন মিইয়া ২টি স্থানে এগিয়ে আছেন । নিজ ইউনিয়নে ও মিডিয়া অঙ্গনে । মিডিয়া অঙ্গনে এগিয়ে থাকার কারণ জামাল হোসেন মিয়া বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । বসুন্ধরা গ্রুপের একাধিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল থাকার কারণে । জামাল হোসেন মিয়া এলাকায় আসলেই বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া গ্রুপ তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড প্রচার – প্রচারণা করে থাকে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সুনামধন্য চৌধুরী পরিবারের সন্তান । তিনি জাতীয় পার্টির আমলে নগরকান্দার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
এমআই