অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামী মিলনের বাড়িতে রাশেদা আক্তার (২৫) অনশন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মদিনা বাজার সংলগ্ন মাঝি বাড়িতে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মিলন ও রাশেদা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন । ৮ বৎসর আগে মিলন ঢাকার একটি হোটেলে আর রাশেদা গার্মেন্টসে চাকুরী করত। সে সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাদের প্রেম গভীর রুপ ধারন করলে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে রাশেদার সঞ্চিত টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় মিলন। তখন বিয়ের জন্য রাশেদা চাপ দিলে বিদেশ থেকে ফিরে এসে ধুমধাম করে বিয়ে করবে বলে তাকে আস্বস্ত করে মিলন। এর পর সৌদি আরব চলে যায় সে।
বিদেশে থাকা অবস্থায় গত ৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে ঢাকার মিরপুরের কাজি অফিসে মুঠোফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয় বলে রাশেদা জানান। এসময় মিলন তাকে বলেছিল দেশে এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে ঘরে তুলবে।
গত ৭/৮ দিন আগে মিলন দেশে এসে রাশেদার সাথে কোন যোগাযোগ না করে একই উপজেলার চর কাচিয়া ইউনিয়নের কাজিবাড়ির মিন্টু কাজির মেয়ে মিতুকে পুণরায় বিয়ে করেন।
খবর পেয়ে ২২ অক্টোবর রবিবার মিলনের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে অনশন শুরু করেন রাশেদা।
সরজমিনে দেখা যায়, মিলনের ঘরে রাশেদা বেগম অবস্থান করছেন। এসময়ে মিলন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তার ছোট বোন রিনা জানান, আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে গতকাল এসেছি ভাইয়ের সাথে আমার দেখা হয়নি এবং তার মোবাইল নাম্বার ও আমার জানা নাই। মিলনের মা মুর্শিদা বেগম বলেন, আমরা এব্যাপারে কিছুই জানিনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান,বিয়ে হয়েছে বলে মেয়ে পক্ষ দাবী করলেও এর স্বপক্ষে শক্ত কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তবে ডিবি অফিসে মেয়ে পক্ষ একটি মামলা করেন বলে তিনি জানান। হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ কে আজাদ সাংবাদিক অ আ আবীর আকাশকে জানান, ২৩ অক্টোবর সোমবার সকালে উভয় পক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব করলে উভয়ের অভিভাবকগন কোর্টের মাধ্যমে সমাধান চান বলে জানিয়েছেন ।
সব কিছু হারিয়ে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার পথ করা ছাড়া আর কোনো পথখোলা থাকবে না বলে জানান রাশেদা।
এমআই