শামীম হোসাইন রিগান, পিরোজপুর জেলা:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৪০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়া হামুনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা শহরসহ জেলার সাতটি উপজেলায় মোট আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এ কথা জানান। পিরোজপুর জেলা প্রশাসক এ সভার আয়োজন করে।
সভায় আরও জানানো হয়, এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৫০ বান্ডিল টিন, ৪১২ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার কম্বল রয়েছে। এছাড়া জনগণের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী সময়ের সেবা দিতে ১৭০০ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সদস্য ও ৩৫০ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, পিরোজপুর জেলাসহ তার পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তাই মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদে রাখার জন্য স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান ডিসি। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার সাত উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলার সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) জানান, আজ দুপুরে মধ্যে উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয় দুযোর্গ মোকাবিলায় টিম গঠন করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ শফিউর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় পুলিশকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে জন্য প্রতি থানায় পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর