নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) থেকে নেতাকর্মীদের নির্ঘুম রাত কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরদিন শনিবার বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে এমন পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুলের নরম কথা বিশ্বাস করবেন না। তারা বিশ্বাস ঘাতক। যাদের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর সাথে, জাতীয় নেতাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে। তাদেরকে আর বিশ্বাস করা যায় না।
অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবে, তাহলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে। এবার আটঘাট, নল বেঁধে নেমিছি। দেখব কোন অলিগলিতে অবস্থান নেবেন।
আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৭ থেকে চোখে ঘুম থাকবে না। প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। যেখানে আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন সেখানে ঘুম দিয়ে কি করব।
কাদের বলেন, অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবে, তাহলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে। এবার আটঘাট, নল বেঁধে নেমিছি। দেখব কোন অলিগলিতে অবস্থান নেবেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাস্তা ছাড়বেন না। আক্রমণ করব না, এ পর্যন্ত করিনি, এ পর্যন্ত আমরা বিরোধী দলের উপর। আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ করব। কোনো ছাড় নয়।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান গিলে খাবে। কাজেই এই অপশক্তিকে একসাথে রুখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতীয় নেতাদের রক্ত আমাদের বিজয়কে রক্তাক্ত করেছে। এরপর ২১ বছর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। এরপরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তে ভিজে গেছে বাংলার মাটি। আজকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে কারা বিজয়ের শত্রু।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজয় যদি নিশ্চিত করতে চান। তাহলে সবার আগে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। যারা আমাদের বিজয়কে বারবার ভূলুণ্ঠিত করেছে, তাদেরকে আমাদের পরাজিত করতে হবে। বাংলার মাটি থেকে এদের অস্তিত্ব মুছে দিতে হবে। তা না হলে চূড়ান্ত বিজয় সংহত হবে না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটি নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য না, আমাদের লক্ষ্য দেশ থেকে অপশক্তি, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করা।
কাদের বলেন, বাইরে কে কি বলছে, তা আমাদের জানার দরকার নেই। কারণ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ থেকে অপশক্তি দূর করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
এমআই