শওগাত আলী সাগর:
রোজিনার জামিন হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। আলভিনা নামের মিষ্টি মেয়েটা যে ‘মা সাংবাদিকতার কাজে ঢাকার বাইরে গেছে’ ভেবে অপেক্ষায় ছিলো, তার অপেক্ষার অবসান ঘটছে, স্বস্তিটা সে কারনে। আরো একটা কারন আছে স্বস্তির।রোজিনা গ্রেফতার হওয়ার পর সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো একসাথে বসে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে সে জন্যও।
সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন,”কেন যেন মনে হচ্ছে সাংবাদিকতার গোড়ার আইনী সংকট দুর করতে অনেক বছর পর একটা কাজের পরিবেশ -দল তৈরী হয়েছে !”সত্যি যদি সেটা হয়ে থাকে তা হলে তো স্বস্তি খানিকটা হতেই পারে।
ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে এক সময় অত্যন্ত দাপটের সাথে কাজ করা টরন্টোয় বসবাসরত সাংবাদিকরা শনিবার একটি ভার্চ্যুয়াল সভায় মিলিত হয়েছিলাম। আলোচনায় রোজিনার মুক্তির পাশাপাশি আরেকটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে। সেটি হচ্ছে ভীতিহীন সাংবাদিকতা চাই। রোজিনার জামিনের মধ্য দিয়ে ভীতিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি, হয়ও না।
শাকিল যে “সাংবাদিকতার গোড়ার আইনী সংকট দুর করতে অনেক বছর পর একটা কাজের পরিবেশ -দল তৈরী হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন, সেই দলটি যেনো ‘ভীতিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ’ নিশ্চিত করার বিষয়টিও তাদের এজেন্ডায় রাখেন।
বাংলাদেশে ভীতিকর সাংবাদিকতার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগবে। কিন্তু তা নিয়ে কাজ শুরু না হলে পরিস্থিতি বদলাবে কী ভাবে? আার ভীতিহীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা না গেলে দেশটা এগুবে কী ভাবে?
লেখক: সাংবাদিক