সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ
ভারতের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজির আহমেদ গানাই বলেন, আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে সমন্বিত কাজ ও গবেষণা করতে আগ্রহী। এর মধ্যে কোর্স, অনুষদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী স্থানান্তর অন্তর্ভক্ত থাকবে। এতে একদিকে ভারতের শিক্ষার্থীরা যেমন বুঝতে পারবে বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান অবস্থা ও কাজ , অন্যদিকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও ভারতের সে বিষয়গুলো বুঝতে পারবে। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাই। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে-অপরের সাথে কাজ করলে তারা বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে একটি আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বুধবার (০৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের আয়োজনে ও কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে ওই সভাটি হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ বিভাগের প্রধান ড. মো. হারুন রশিদ নায়েক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যে তিনি শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। তিনি তার বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে বাকৃবি ও শের-এ-কাশ্মীর বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বরুপ কোর্স,
অনুষদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের মান, শিক্ষার পরিবেশ, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া অনুষ্ঠানের শেষের দিকে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করা হয়।
এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ. বি. এম আরিফ হাসান খান রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজির আহমেদ গানাই। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী ও অর্থায়িত প্রকল্পের পরিচালক ড. শাহ কামাল খান, মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন শের-এ-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ বিভাগের প্রধান ড. হারুন রশিদ। এছাড়াও কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ড. এমদাদুল হক বলেন, শের-এ-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা খুবই মানসম্মত। বিশ^বিদ্যালয়টিতে নতুন উদ্ভাবন মূলক গবেষণা ও তা সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাকৃবি ও শের-ই-কাশ্মীর বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর প্রস্তুতি
সম্পন্ন করা হবে। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা হবে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী। বিশ^বৈচিত্রের জ্ঞান ধারণ ও অর্জনে সক্ষম হবে দুই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এমআই