আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভেরম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে দোষারোপ করার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার তাকে বরখাস্ত করলেন। কে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, তা এখনো বলা হয়নি।
গত শনিবার গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়ে লন্ডনে তিন লাখের বেশি লোক সমবেত হয়। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কট্টর ইসরাইলপন্থী হিসেবে পরিচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো বিক্ষোভকারীদের আইন লঙ্ঘনকারী এবং 'ঘৃণার মিছিলকারী' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো লোকদের সমবেত হওয়ার সুযোগ দানের জন্য পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন।
পুলিশকে আক্রমণ করে সুয়েলার এই বক্তব্য সরকার ও বিরোধী কোনো দলই ভালোভাবে নেয়নি। উভয় পক্ষই তার বক্তব্যকে 'আক্রমণাত্মক' এবং 'জ্বালাময়ী' হিসেবে অভিহিত করে।
সোমবার বরখাস্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। সময় হলে আমি আরও বলবো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত প্রদানে রিশি সুনাকের সরকারকে শক্তিশালী করেছে’।
এই রদবদল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন তিনি। ফিলিস্তিনিপন্থিদের একটি বিক্ষোভ মোকাবিলায় মেট্রোপলিটন পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন এ নেতা।
বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের এমপিদের কাছ থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রেভারম্যান। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ এবং ‘উসকানিমূলক’ বলে অভিহিত করেন।
শেষ পর্যন্ত সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তই নিলেন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক।
৪৩ বছর বয়স্কা সুয়েলা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মন্ত্রী। তার মা-বাবা যথাক্রমে কেনিয়া ও মরিশাস থেকে ব্রিটেনে অভিবাসন করেছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর