পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)তে দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব, মুসলিম স্থাপত্যের গুনী গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুনের নিজের জীবনালেখ্য বর্ণনামূলক আলোচনা "অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন : জীবন ও কর্ম" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র (পাবিপ্রবি) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারি-২ এ পাবিপ্রবির ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে "অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন : জীবন ও কর্ম" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসাইন সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো:হাবিবুল্লাহ। সঞ্চালনা করেন কুমারী সঞ্চিতা রানী।
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন তার আলোচনায় বলেন,"ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে কাছে টানা যায়, জয় করা যায়। দূরে ঠেলে দিলে কাছে আসে না। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়। বড় হতে চাইলেন সুযোগ আল্লাহই মিলিয়ে দিবেন। মানুষ নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করতে পারেনা। বিধাতা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন আমরা জানি না, আমাদের জানতে হবে, জ্ঞানের অন্বেষণ করতে হবে।"
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন,"আমরা ছোটবেলায় খুবই স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি, সেই স্ট্রাগলটা সবার দরকার আছে। স্ট্রাগল করলে কি হয়; আমাদের সমস্ত শক্তি, ফিজিক্যাল সহ সবদিক থেকে আমরা শক্তিশালী হই। তাই স্ট্রাগল যদি আসে আমরা সেটাকে নেগেটিভ ভাবে না নিয়ে আমরা বরং যদি মনে করি আল্লাহ-তায়ালা আমাদের দিয়েছেন নিজেকে শক্ত করার জন্য। নিশ্চয়ই আমরা সেই শক্তি নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা যারা আজকে আছি আমরা এগিয়ে যাব।"
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান তাঁর বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দেশের সকলের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান। এছাড়াও ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ্, সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, প্রভাষক রাহেনা বেগম বক্তব্য দেন।
সময় জার্নাল/এলআর