অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ:
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি শুরু করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বেকাররা, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামের সংগঠনের ব্যানারে। তাদের দাবি বর্তমানে বেঁধে দেওয়া বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করতে হবে। তাদের এই আন্দোলনের কারণে সম্প্রতি এই বয়স-সীমা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। (বিবিসি বাংলা, ২০১৮)
কেউ কেউ এই সীমা না বাড়ানোর পক্ষে। আবার কেউ কেউ শুধু বাড়ানোই নয়, তারা এই সীমা তুলে দেওয়ারই কথা বলছেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বিশ্বের ১০৭টি দেশে চাকরির বয়সের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপসহ এসব দেশে চাকরির বয়স হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫৯ পর্যন্ত। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্যে চাকরির বয়সসীমা ৪৫।" তাদের কথা হলো যোগ্যতা প্রমাণ করতে বয়স কোন বাঁধা হতে পারে না।
তাই আসলে চাকরির জন্যে কোন বয়স-সীমাই রাখা উচিত নয়। বয়সের জন্যে কোন সীমা বেঁধে দেওয়া না হলে তো সরকারি চাকরিতে স্বল্প কিছু পদের জন্যে হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন এবং সেজন্যে সরকার একটা নীতিমালা তৈরি করতে পারে। একেক শ্রেণির চাকরির জন্যে একেকটা বয়স-সীমা বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। যেমন প্রথম শ্রেণির জন্যে ৩৫, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্যে ৪০, তৃতীয় শ্রেণির জন্যে ৪৫ এরকম। চাকরি শুরু করার বয়স সীমা বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ সারা দেশে মানব বন্ধন, সেমিনার, সভা সমাবেশের আয়োজন করে আসছে।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিকস রিসার্চ (এনবিইআর)।