বিনোদন ডেস্ক: মুখাবয়বের সার্জারী করেছেন উপস্থাপক, নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী ও মডেল বারিশা হক। গতকাল তার ফেসবুক পেজে পোস্টে সার্জারির কথা জানান তিনি।
বারিশা হক তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমাদের শোবিজের অনেক আর্টিস্টরাই মুখাবয়বের সার্জারি করেছেন ইতিপূর্বে যাদের কেউই প্রকাশ করেননি গণমাধ্যমে, এর সঠিক কারন আমার জানা নেই তবে ব্যক্তিগতভাবে তাদের এই সার্জারী সম্পর্কে আমি জানি। আমিই মনে হয় বাংলাদেশের প্রথম নারী যে অকপটতার সাথে তার মুখাবয়বের গড়ন বদলে ফেলার গল্পটা শেয়ার করলাম।
বারিশা হকের ফেসবুক পোস্ট টি নিম্নে দেওয়া হল:
জি, আমি মুখাবয়বের সার্জারী করেছি। শুধু আমি নই বাংলাদেশের বর্তমাযুগে ত্রিশ ছুঁই ছুঁই নারীরা এ ধরনের সার্জারীর সাথে বেশ পরিচিত। আমাদের শোবিজের অনেক আর্টিস্টরাই করেছেন ইতিপূর্বে যাদের কেউই প্রকাশ করেননি গণমাধ্যমে, এর সঠিক কারন আমার জানা নেই তবে ব্যক্তিগতভাবে তাদের এই সার্জারী সম্পর্কে আমি জানি। আমিই মনে হয় বাংলাদেশের প্রথম নারী যে অকপটতার সাথে তার মুখাবয়বের গড়ন বদলে ফেলার গল্পটা শেয়ার করলাম। কারন লুকোচুরি কখনওই আমার পছন্দের তালিকায় ছিলনা, থাকবেওনা।
যাইহোক, অনেকেই হয়ত আজ নেতিবাচক মন্তব্যসূত্র প্রয়োগ করবেন এই পোস্টে। যদিও হলিউড, বলিউড, বা আমাদের নিকটবর্তী টালিউডের পর্দার মানুষগুলোর শারীরিক পরিবর্তন আমরা খুব সহজেই মেনে নেই এমনকি কিছু কিছু সময় এপ্রিশিয়েট করি। সেই পুরাতন আমাকেই ভালো লাগতো এমন ইতিবাচক মন্তব্য শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে কারন এই গড়ন খুবই সাময়িক। আমাকে আমার জন্মগত আগের গড়নেই ফিরে যেতে হবে একটি নির্দিস্ট সময়ের পর। তবে নতুনভাবে এই আমাকেও আপনারা সানন্দে গ্রহণ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছি। আমরা কম বেশী সবাই বুঝি বা জানি কে বা কারা সার্জারী করে থাকেন কিন্তু মন্তব্য করিনা কারন আমাদের কাছে প্রমাণ নেই। যাইহোক, আমার কাছে নিজের আত্মতৃপ্তিটা যেমন বড় তেমনি আপনাদের ভালোবাসাও মুখ্য।
আজ বলি কিছু ছোট ছোট ঘটনা। আমার এই অল্পসময়ের শোবিজ অংগনে পথচলায় মুখের জন্মগত গোলাকার গড়ন নিয়ে নানান হেয় মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে। বড় বড় প্রজেক্ট থেকে আমার ছবি রিজেক্ট করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সিতে গিয়ে স্ক্রিনটেশ দেয়ার পর মুখের আকার বড় থাকায় বাদ পড়তে হয়েছে প্রতিযোগীতায়। যতটা সহজ মনে হয় আসলেই কি এতটা সহজ এই ইঁদুর দৌড়ে নিজের জায়গা করে নেয়া ??? আমি কখনওই হতাশ হয়নি, থেমে যায়নি। তবে যখন সুযোগ হয়েছে এই নতুন আমিকে আয়নায় বা ক্যামেরায় দেখতে চাওয়ার আকুতিতাও বেশ তীব্র ছিল আমার। আশা রাখছি আপনারাও আমার জায়গা থেকে নিজেকে চিন্তা করবেন একটি বার নিজেকে আরও কনফিডেন্ট মনে হবে। উল্লেখ্য, আমি সম্প্রতি আমার আকাঁবাকাঁ প্রিয় দাতঁগুলো সোজা করেছি পর্দায় সাভাবিক দেখানোর জন্য। দাঁতের গুরুত্ব কতটুকু চেহারার গড়ন পরিবর্তনে তা অবশ্য অনেক আগে থেকেই এদেশের মানুষের খুব ভালো ভাবে জানা। ঠিক তেমনি একদিন laser surgery-ও হয়ে যাবে।
সময় জার্নাল/এমআই