আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে চার দিনের যুদ্ধবিরতি । শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল ও হামাস পরস্পর জিম্মি ও বন্দী বিনিময় শুরু করেছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গতকাল শনিবার দ্বিতীয় ধাপে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি ৩৯ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সব ধরনের হামলা বন্ধ রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা প্রিয়জনদের সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছে
যুদ্ধবিরতির ফলে রাতে নির্ভয়ে ঘুমাতে পারছে গাজাবাসী। শনিবার গাজা উপত্যকায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ভবনগুলির পাশ দিয়ে হাটঁছে ফিলিস্তিনি জনগণ।
তবে গাজাবাসী মনে করছে, এটা যুদ্ধবিরতি পূর্ণাঙ্গ নয়। সাময়িক বিরতির পর আবার ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর হামলে পড়বে—এমনটাই বললেন হানি মাহমুদ। তাঁর মতে, গাজায় প্রায় ১৭ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছে তারা। কেউই নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছে না।
আল–জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, গাজাবাসীর মধ্য হতাশা ভর করেছে। সেই সঙ্গে তারা ক্ষোভে ফুঁসছে। তাদের মনে প্রশ্ন, নিরাপদে বাড়ি ফেরার সুযোগ দেওয়ার শর্তটি কেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্ত করা হয়নি? এ জন্য তারা হতাশ।
কাতারের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ওই দিন প্রথম ধাপে নির্ধারিত সময়ে বন্দি বিনিময় করে উভয়পক্ষ।
হামাস ইসরায়েলের সাথে তাদের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার জন্য মিসর ও কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।
যুদ্ধবিরতির এ চুক্তির আওতায় চার দিনে নারী ও শিশুসহ ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে দেড়শ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এর আগে গত বুধবার কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সংঘাতরত পক্ষগুলো।
ইসরায়েলি সরকার বলেছে, প্রতিদিন অন্তত ১০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হলে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যেতে পারে। তবে ইসরায়েল হামাসকে সম্পূর্ণ বিনাশ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে চুক্তিটি কেবল অস্থায়ী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইসরায়েল ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছে।
এমআই