মো. মঈন উদ্দিন রায়হান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্যস্মৃতি বিজড়িত স্থান। করোনা সংক্রমণের কারণে এবারো ত্রিশালে ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। টানা দ্বিতীয় বারের মতো ভিন্ন আবহে কবিকে স্মরণ করছে ময়মনসিংহের কবি ভক্তরা।
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসনসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। প্রতি বছর নজরুলের জন্মদিন এলেই তার স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো ভক্ত-অনুরাগীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠতো। তিনদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কবি নজরুলের বাল্য বিদ্যাপীঠ সরকারি নজরুল একাডেমি (সাবেক দরিরামপুর হাইস্কুল) মাঠে আয়োজন করা হতো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নজরুল মেলা। নজরুল জয়ন্তী উৎসব-আনন্দে মাততো পুরো ময়মনসিংহবাসী।
কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো এবারো দরিরামপুর নজরুল একাডেমি, নজরুল মঞ্চ, নজরুল সংগ্রহশালা, পাঠাগার, স্মৃতিকেন্দ্র এবং কবি যে বটগাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাতেন, সেই বটগাছসহ স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহের কোথাও দর্শনার্থীদের ভিড়ও নেই। নেই কোন আয়োজন।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি নিদের্শেনা থাকায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি, তবে ঘরোয়াভাবে ত্রিশালের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
উল্লেখ্য, আসানসোল থেকে দারোগা রফিজ উল্লাহর হাত ধরে নজরুল এসেছিলেন ত্রিশালের কাজীর শিমলা গ্রামে। পরে কাজীর শিমলা থেকে দারোগা রফিজ উল্লাহ কবি নজরুল ইসলামকে জায়গির হিসেবে পাঠিয়ে দেন ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের বিচুতিয়া বেপারীর বাড়ীতে। ওখান থেকেই তিনি ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ত্রিশাল উপজেলার কাজীর শিমলা ও নামাপাড়া গ্রামে কবি নজরুল ইসলামের অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত স্থান রয়েছে।
সময় জার্নাল/এসএ