স্পোর্টস ডেস্ক:
আজ বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটার শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম যোগ করতে পারলেন কোনো রান। শুধু নিয়ম রক্ষা করতেই নামলেন মাঠে। দিনের প্রথম বলেই দিয়ে দিলেন উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পর শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিতে থাকে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩১০ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
স্ট্রাইকে থেকে ১৩ রানে অপরাজিত থাকা ব্যাটার শরিফুল আজ রীতিমতো স্ট্রাইক নেন। কিন্তু পেসার টিম সাউদির প্রথম বলেই লেগবিফোর উইকেটের (এলবিডব্লিউ) এর ফাঁদে পড়েন শরিফুল। যদিও প্রথমে আউটের সিদ্ধান্ত দেননি আম্পায়ার। পরে সাউদির রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার আহসান রেজা। ফলে স্কোরকার্ডে কোনো রান যোগ না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দুই ব্যাটার।
৩১০ রান তাড়ায় নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনিং করেন টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিউইদের সংগ্রহ ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১ রান।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভুলেই এটি আসলে কোন ফরম্যাটের খেলা। তাদের যেন ছিল অদৃশ্য এক তাড়া। একমাত্র মাহমুদুল হাসান জয় ছাড়া কেউই টেস্টের ব্যাটিংটা করতে পারলেন না কেউ। ফলে পুঁজিটাও তেমন বড় করতে পারেনি স্বাগতিক দল।
এর আগে হাফসেঞ্চুরি করে ধীরে ধীরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু পারলেন না তিনি ইনিংসটিকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছে দিতে। ১৬৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৮৬ রান করে ইশ সোধির বলে তিনি ক্যাচ তুলে দিলেন ড্যারেল মিচেলের হাতে।
মাহমুদুল হাসান জয়ের আগে আউট হয়েছেন মুমিনুল হকও। ৭৮ বলে ৩৭ রান করে তিনি আউট হয়ে যান গ্লেন ফিলিপসের বলে উইকেটের পেছনে টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
গ্লেন ফিলিপসের ফুল টস বল উঁচু করে খেলতে গিয়ে ডিপ মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন। সেটিকে তালুবন্দী করেন কেন উইলিয়ামসন। ৩৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংসটির যবনিকাপাত ঘটলো তখনই।
এরপর উইকেটে নেমে আসেন অভিজ্ঞ টেস্ট ব্যাটার মুমিনুল হক। তিনি ৩ রান তুলতেই লাঞ্চ বিরতির সময় হয়ে যায়। শেষ হয়ে যায় প্রথম দিনের প্রথম সেশনের খেলা। ততক্ষণ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ওঠে ২৭ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৪।
লাঞ্চের পর মুমিনুল আর জয় ৪ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে গেলে হঠাৎ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজও। মুশফিক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ২২ বলে ১২ করে অ্যাজাজ প্যাটেলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
মিরাজ শুরুটা করেছিলেন ভালো। তবে তাকে ফিরতে হয়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। কাইল জেমিসনের বাউন্সারে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন মিরাজ (২০), স্লিপে চলে যায় বল।
অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ধৈর্য ধরে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু তারও ধৈর্যর বাঁধ ভেঙে যায় অবশেষে। ৫৪ বলে ২৪ করে গ্লেন ফিলিপসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই তরুণ।
নুরুল হাসান সোহান উইকেটে এসেই টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করেন। প্রথম ২০ রান নিতে তার স্ট্রাইকরেট ছিল দুইশর মতো। তবে টেস্টে অতি মারমুখী হতে গেলে ইনিংস বড় করা হয়ে উঠে খুব কমই।
কিউই পার্টটাইম অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপস একাই নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার কাইল জেমিসন আর অ্যাজাজ প্যাটেলের।
সময় জার্নাল/এলআর