মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থী সাঁতার কেটে পাড়ি দিলেন বাংলা চ্যানেল।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন তাঁরা।
সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ‘১৮তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২৩’ নামে সাঁতারের এ আয়োজন করে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নেন। তারমধ্যে চবি থেকে অংশ নেন ৫ জন। অংশগ্রহণকারী ৫ জনই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হন।
বাংলা চ্যানেল জয়ী চবির পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, উজ্জ্বল চৌধুরী, পালি বিভাগ ২০১৩-১৪ সেশন, সালাহ উদ্দিন, ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ ২০১৬-১৭ সেশন, মোঃ আবদুল মতিন, জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এন্ড বায়েটেকনোলজি বিভাগ ২০১৬-১৭ সেশন, মুরাদ হোসেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৭-১৮ সেশন, নাদিম মাহমুদ ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ ২০১৯-২০ সেশন।
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সালাহ উদ্দীন সময় নেন ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট, মো. আব্দুল মতিন ৪ ঘন্টা ২৭ মিনিট, নাদিম মাহমুদ ৪ ঘন্টা ৫০ মিনিট, উজ্জল চৌধুরী ৪ ঘন্টা ৫৯ মিনিট, মুরাদ হুসেন ৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট।
চবি শিক্ষার্থী মুরাদ হুসেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সাঁতরে পার হওয়া প্রতিটা এডভেঞ্চারপ্রেমী মানুষের স্বপ্ন, সে হিসেবে আমার স্বপ্নটা পূরণ হলো! তবে স্বপ্ন পূরণটাই মূল লক্ষ্য ছিলো না, আমাদের এই সাঁতারের মাধ্যমে মানুষ জানবে যে, সাঁতার জানা থাকলে গভীর সমুদ্রও পাড়ি দেওয়া সম্ভব এবং আমাদের নদীমাতৃক দেশে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার কমানোর জন্য সবার বাধ্যতামূলক সাঁতার শেখা উচিত। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সাঁতারুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল এডভেঞ্চার স্পোর্টস ট্যুরিজম খাতকে প্রসারিত করতে এই ইভেন্ট গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চবির সাবেক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, এবার নিয়ে আমি তিন বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে হ্যাট্রিক করলাম। আমার আর এক সহযোগী সালেহউদ্দিনও হ্যাট্রিক করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সাগর পাড়ি দেওয়ার পর যখন সেন্ট মার্টিনে পা রাখি তখন স্বর্গীয় সুখ অনুভব করি, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আমরা সাগরকে ভালোবাসে সাগরকে জয় করার উদ্দেশ্য পাড়ি দিই৷
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সামনে তুলে ধরতে পেরে দারুণ খুশি।
এমআই